গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রবাসীর স্ত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় তাকে আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়। পরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে গৃহবধূর মা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেছেন। সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার তরগাঁও এলাকার রোমান বেপারী, জুবায়ের বেপারী, মোরসালিন সরদার, সাহাবুল হোসেন সাকিব, মাসুম শেখ, রাকিব হোসেন ও মাহফুজুল হক।
মামলার প্রধান আসামি উপজেলার করিহাতা ইউনিয়নের চর খামের গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী নরসিংদী জেলার মনোহরদী এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। সাখাওয়াত হোসেন তার পূর্বপরিচিত। মোবাইল ফোনেই প্রথম তাদের পরিচয় হয়। ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাখাওয়াত তাকে মোবাইল ফোন দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাখাওয়াত ও তার সহযোগীরা কৌশলে তাকে তরগাও এলাকার নবীপুর নর্দারটেকে নিয়ে যান এবং সেখানে কড়ইগাছতলায় তাকে ধর্ষণ করে।
পরে আসামিরা গৃহবধূকে আটকে রেখে তার মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন, অন্যথায় তাকে হত্যার হুমকি দেন। এ খবর শুনে ভিক্টিমের মা কাপাসিয়া থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান।
পরে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গৃহবধূকে উদ্ধার এবং মামলার সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।